সরকার নির্ধারিত দামে না পোষানোর কারণ দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন বাজারে আগাম ঘোষণা ছাড়াই গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
গত দুই দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে না। আর মঙ্গলবার দুপুর থেকে খাগড়াছড়িতেও বিভিন্ন বাজারে কোনো গরুর মাংসের দেখা মেলেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্তত ৩০০ দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
আর ব্যবসায়ীদের যুক্তি, খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ তাদের কিনতে হচ্ছে ৭২০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ৭৫০ টাকা দরে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, ‘দাম পুনরায় বিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখা হবে। তবে কেউ এই দামে বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেওয়া হবে না।’
এ নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে। উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত যেন লাভজনক হয়, তা হিসেব করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা।’
এদিকে খাগড়াছড়িতে সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামে মাংস বিক্রি করে না পোষানোর অজুহাতে ব্যবসায়ীরা কোনো গরু জবাই করেনি। তাই মাংস বেচা বিক্রিও বন্ধ। অনেকে মাংস কিনতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর খালি হাতে ফিরেছে।
খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদুল আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত শুক্রবার ডাল, ডিম, মাংস, পেঁয়াজসহ ২৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই সেটি মানছেন না।