Monday, December 23, 2024

‘বাংলাদেশি জাহাজ উদ্ধারে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী’

আরও পড়ুন

মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এখন তারা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ডের বন্দর ও সামুদ্রিকপথ বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ ইয়াসিন সালাহ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি এ কথা জানান।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধারের বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ৪০ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ৩৫ জলদস্যু ও ১৭ ক্রুসহ মাল্টার জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ভারতীয় নৌ সেনা ও কমান্ডোরা। এই অভিযানে তারা আইএনএস সুভদ্র নামের একটি যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ব্যবহার করে।

আরও পড়ুনঃ  ইরানের কাছে এমন কী আছে, যাতে ভয় পায় ইসরায়েল?

মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটি মুক্ত করার পর একইভাবে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকেও উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোমালিয়ার মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘এমভি রুয়েনের মতো, তারা (নৌবাহিনী) একটি অভিযান চালানো এবং ক্রুদের উদ্ধারের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।’

সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ডের বন্দর ও সামুদ্রিকপথ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দস্যুদের পুন্টল্যান্ডের উপকূলকে তাদের জাহাজ আটকে রাখা ও দস্যুতার স্থান হতে দিব না। আমরা আমাদের বন্ধুদের বার্তা দিয়েছি দস্যুদের হামলা চালানোর সুযোগ দেওয়া যাবে না।’

আরও পড়ুনঃ  বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় উত্তর কোরিয়ায় ৩০ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

এর আগে, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। জাহাজটি ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

অন্যদিকে, গত বছরের ডিসেম্বরে এমভি রুয়েন নামের জাহাজটি ছিনতাই করে জলদস্যুরা। ওই জাহাজে ১৮ জন ক্রু ছিলেন। এরমধ্যে অসুস্থ হওয়ায় এক ক্রুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বাকি ১৭ জনকে তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ