Monday, December 23, 2024

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি : রিজভী

আরও পড়ুন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। এটিই আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।

সোমবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টায় বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতিনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীতের মতোই ওইসব নেতাদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  পেটে ক্ষুধা আর মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে জনগণকে ঈদ করতে হচ্ছে: রাশেদ প্রধান

এর আগে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। সেইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।

চট্টগ্রামে এবার সুগার মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুনঃ  বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজসহ দুই যুবকের মৃত্যু

এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু উপস্থিত ছিলেন।

পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির নিহত আব্দুল মতিনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

গত বছরের ১৪ নভেম্বর শেরপুরে পুলিশ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। পর দিন ১৫ নভেম্বর বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও একই ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় উপজেলা বিএনপির ৬৭ জনের নামে বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকতেন তিনি। এরই একপর্যায়ে ২২ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পর দিন ২৩ নভেম্বর ভোরে বাড়ির পাশের ফসলি মাঠ থেকে গুরুতর অবস্থায় তাকে (বিএনপি নেতা আবদুল মতিন) উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ