টেলিভিশন সিরিজ ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি লাভ করা টালিউড অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ রূপা গাঙ্গুলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক সদস্যের মুক্তির জন্য বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে বাঁশদ্রোনি থানার সামনে প্রতিবাদের নেতৃত্ব করেন অভিনেত্রী রূপা। পরে কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে কলকাতা পুলিশ সদর দপ্তরে নেয়।
এ অভিনেত্রী বিজেপি নেত্রী রুবি দাসের মুক্তিতে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এর আগে বুধবার সকালে বাঁশদ্রোণীতে বেহাল সড়কে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে সেই বিক্ষোভ আরও তীব্রতায় রূপ নেয়। তখন ওই দিন সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয় রুবি দাসকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুবি দাসের মুক্তির পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন রূপা গাঙ্গুলী। ১৫ বছর বয়সী ছেলে সাইকেল নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। তখন একটি খননকারীর দ্বারা আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় ওই ছেলের।
লালবাজার পুলিশ জানিয়েছে, রূপা গাঙ্গুলীকে প্রথমে কারাগারে নেয়া হয়েছিল এবং পরে আইন অনুযায়ী আদালতে তোলা হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০-এর দশকের ক্লাসিক সিরিজ ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকমহলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন রূপা গাঙ্গুলী। অভিনয় ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপিতে যোগ দেন এবং রাজ্যসভায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যদিও হাওড়া উত্তর আসনে ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মী রতন শুক্লার কাছে পরাজিত হন। পরে ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু পদত্যাগ করলে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয় অভিনেত্রীকে।
রূপা গাঙ্গুলী ‘কানুন’ (১৯৯৩), ‘চন্দ্রকান্ত’ (১৯৯৪), ‘করম আপনা আপনা’ (২০০৭) ও ‘আগলে জনম মোহে বিটিয়া হাই কি জো’ (২০০৯) সহ কয়েকটি জনপ্রিয় হিন্দি শোতে অভিনয় করেছেন।