জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা শুনে আসছি, প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। কিন্তু তারা গ্রীষ্মে যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয়, তখন পানি না দিয়ে পিপাসার্ত করে দেয়।
গ্রীষ্মে পানি না ছেড়ে বানায় মরুভূমি, আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যায় ভাসায়। আমরা অবাক। ভারত কেমন বন্ধু আমাদের! গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্যাকবলিত লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় পানিবন্দিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন জামায়াতের আমির। তিনি বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনের মধ্যে ফুড প্যাকেট উপহার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
জামায়াতের আমির বলেন, আমাদের একটা সরকার ছিল; সাড়ে ১৫ বছর। তারা বলত দেশকে সিঙ্গাপুর ও কানাডা বানিয়েছে। এই হলো সিঙ্গাপুর ও কানাডার দৃশ্য। এসব ছিল মিথ্যা ও ভুয়া। তারা জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ তার নিজের বাসায় একটা পর্দা টানালে বলত—এ ঘরে জঙ্গি আছে। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা দ্বীন মোহাম্মদ, মাওলানা এটিএম মাছুম, জেলা জামায়াতের রুহুল আমিন ভূঁইয়া, এআর হাফিজ উল্যা, ফারুক হোসেন নুরনবী, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মহসিন কবির মুরাদ, সরদার সৈয়দ আহমদ, আবদুর রহমান, আবু ফারাহ নিশান, শিবিরের জেলা সভাপতি আরমান পাটওয়ারী, সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, বন্যার্ত এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের স্বাভাবিক সাংগঠনিক কাজ স্থগিত রেখে আগামী এক সপ্তাহ বন্যার্তদের
সাহায্য-সহায়তা করার অনুরোধ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। গতকাল বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ উদ্বোধনকালে জেলার সেনবাগ ও চৌমুহনীতে দুটি পথসভায় তিনি এই অনুরোধ করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার একটি অংশ ভারতের পানি এবং ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যায় ভেসে গেছে। মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। পথসভাগুলোতে জামায়াতের নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিনসহ জামায়াত-শিবিরের জেলা ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।