দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সবখানেই। বাদ পড়েনি ক্রিকেটাঙ্গনও। দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধানের পদ আঁকড়ে ধরে আছেন নাজমুল হাসান পাপন।
আওয়ামী লিগের সাবেক এই সাংসদ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে আছেন তিনি। এদিকে বিসিবিতে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া।
গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) বিসিবির পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস চৌধুরী। বিসিবির সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপনও। এমন অবস্থায় বিসিবিতে ডাকা হয়েছে জরুরি সভা।
আগামীকাল বুধবার (২১ আগস্ট) বিসিবিতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় অনলাইনে যোগ দেবেন বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি পাপনকে। জানা গেছে, এই মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তিনি। বিসিবি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তারই প্রেক্ষিতে বিসিবির এই জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। অনলাইনে এই সভায় পাপনের যোগ দেয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিসিবির বর্তমান কর্তাদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। এই সভাতেই পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন পাপন।
এদিকে গতকাল সোমবার বিসিবি কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। পাপনের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিসিবি সভাপতি ও পরিচালকদের পদত্যাগের বিষয়টি মিডিয়াতে দেখেছি।
আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো নিশ্চয়তা বা বক্তব্য পাইনি। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি- বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, ক্রিকেট সংগঠক, সাবেক ক্রিকেটারদের সাথে; এ বিষয়টির ভালো সমাধানে পৌঁছানোর জন্য।’
পাপনের পদত্যাগের পর বিসিবিতে নতুন করে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হবে। তবে নতুন করে কমিটি বানাতে সরকার বা তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ওপর আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা। তাই আইসিসির নীতিমালা মেনেই সবকিছু করার পরামর্শ ক্রীড়া উপদেষ্টার।