ফেনীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম (১৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আবিদুল ইসলাম দাগনভূঞা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আমানউল্লাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও স্থানীয় দাগনভূঞা একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা থানার ওসি মুহাম্মদ আবুল হাসিম।
পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন তিনি। পাঁচ দিন পর শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ফেনীর দাগনভূঞায় সুমাইয়া নামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মী পরিবারসহ আমানুল্লাপুর গ্রামের নিজাম টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতেন। সোমবার তিনি ওই বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এতে ভবন মালিক নিজাম উদ্দিন, তার ভাই জসিম উদ্দিন ও বাড়ির দারোয়ানসহ কয়েকজন তাকে মারধর করেন। এতে আবিদুল ইসলামের বাবা একই এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়।
বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে আবিদুলকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকালে তিনি মারা যান। তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়।
এ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’