রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদুর রহমান মিঠুর কক্ষ থেকে ৬ শিক্ষক ও দুই কর্মকর্তার সুপারিশকৃত জীবনবৃত্তান্ত উদ্ধার ঘটনায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির তীব্র অভিযোগ উঠেছে। তারা ২০১৮ ও ২০২৩ সালে নিয়োগ পান। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মিঠু।
এ ছাড়া তাঁর কক্ষ থেকে আরও ডজনখানেক চাকরিপ্রত্যাশীর জীবনবৃত্তান্ত ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার মধ্যরাতে তল্লাশি চালিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এগুলো উদ্ধার করেন।
জীবনবৃত্তান্ত পাওয়া শিক্ষকরা হলেন– কৃষি অনুষদের বায়োটেকনোলজি বিভাগের শামীম আরা সুমি, বোটানি বিভাগের শারমিন আক্তার রানু, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের মুন্সি মোহাম্মদ সুমন, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের হায়দার খান সুজন, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিরাজুম মুনিরা ও এগ্রিকালচারাল ইকোনমিকস বিভাগের ফাতেমা তুস সাদিয়া।
আর দুই কর্মকর্তা হলেন– উজ্জ্বল হোসেন ও সাবেরী আনোয়ার। এর বাইরেও চাকরিপ্রত্যাশী আরও ডজনখানেকের জীবনবৃত্তান্ত পাওয়া যায়। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় রামদা, চাপাতি, রড, বিদেশি মদের বোতল ও এক ভারতীয় নাগরিকের আধার কার্ড।
এর আগে শুক্রবার রাত ১২টার পর শিক্ষার্থীরা শেকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এবং পদপ্রত্যাশী জামিউল আলম পরশ, আরিফুল আরিফ ও রুদ্র নাথ টুটনের কক্ষে তল্লাশি চালান।