Sunday, December 22, 2024

ইসরায়েলে ঢুকতে পারে তুরস্ক : এরদোয়ান

আরও পড়ুন

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারে তুরস্ক। তিনি বলেন, অতীতে আজারবাইজানের নাগোরনো কারাবাখ এবং লিবিয়াতে যেভাবে প্রবেশ করেছিল তুরস্ক, এবার ইসরায়েলেও সেভাবে ঢুকতে পারে তার দেশ।

রোববার এরদোয়ান তার ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক বৈঠকে এই ঘোষণা দেন। যদিও তিনি কী ধরনের হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছেন তা উল্লেখ করেননি তুর্কি প্রেসিডেন্ট। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে লিবিয়া এবং নাগোরনো-কারাবাখের মতো এবার তুরস্ক ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান রোববার জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রয়টার্স বলছে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের শুরু থেকেই তীব্র সমালোচনা করে চলেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। রোববার তার দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রশংসা করে দেওয়া বক্তৃতার সময় এই যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন তিনি।

নিহ শহর রিজে এরদোয়ান তার ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক বৈঠকে বলেন, আমাদের অবশ্যই খুব শক্তিশালী হতে হবে যাতে ফিলিস্তিনের সাথে ইসরায়েল এই হাস্যকর কাজগুলো করতে না পারে। আমরা যেভাবে কারাবাখে প্রবেশ করেছি, যেভাবে আমরা লিবিয়ায় প্রবেশ করেছি, আমরা তাদের (ইসরায়েলের) ক্ষেত্রেও একই কাজ করতে পারি।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আরও বলেন, আমরা এটি না করার কোনো কারণ নেই… আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে যাতে আমরা এই পদক্ষেপগুলো নিতে পারি।

আরও পড়ুনঃ  এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

অবশ্য এরদোয়ানের মন্তব্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে কল করা হলেও একে পার্টির প্রতিনিধিরা সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া ইসরায়েলও তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান রোববারের ভাষণে তুরস্কের অতীত কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। ২০২০ সালে লিবিয়ার জাতিসংঘ-স্বীকৃত সরকারের সমর্থনে দেশটিতে সামরিক বাহিনীর সদস্য পাঠিয়েছিল তুরস্ক।

লিবিয়ার ত্রিপোলি-ভিত্তিক জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ আল-দাবিবাহকে তুরস্ক সমর্থন করে।

এছাড়া নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করে থাকে তুরস্ক। কিন্তু গত বছর তুরস্ক বলেছে, তারা তার এই ঘনিষ্ঠ মিত্রকে (আজারবাইজান) সহায়তা করার জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ এবং আধুনিকীকরণসহ ‘সকল উপায়’ ব্যবহার করছে।

আরও পড়ুনঃ  খালেদ মহিউদ্দীন ‘শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি’ করছেন: হাসনাত-সারজিস

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ