বৃষ্টি
মাহবুব রুমন
বৃষ্টি! তুমি কি জানো
কত ফোটা অশ্রু জমাট বেধে জন্ম হয় গুমোট মেঘের?
জানো কি
তোমার ঠিকানা পেতে কত শত সহস্র বছর আগে
ঘর ছেড়েছিল শরনার্থী সেই মেঘেদের দল?
বৃষ্টি, তোমার আলিঙ্গন পেতে সুনিশ্চিত মৃত্যু জেনেও
মেঘেরা ফোটায় ফোটায় ঝরেছে দশ দিগন্তের ব্যথা বুকে বয়ে।
খেয়াল করেছো বৃষ্টি?নামগোত্রহীন অচেনা যে পথিক
সেও চাইলেই জিরিয়ে নিতে পারে অনাত্মীয় গাছের ছায়ায়
অথচ দেখ এই মেঘেরা কতটা অসহায়!
জন্মের পর থেকে ছুটছে তো ছুটছেই;
নীলচে অসীম আকাশে।
তবু কেউ ভরসার হাতটা বাড়ায়নি ভুলেও একটিবার,
কোন মায়াবি আঁচল পরম আশ্রয় হয়ে উঠেনি মুহুর্তের তরেও।
আকাশে আকাশে নিরাশ্রয় ছুটে চলা মেঘেদের পানে
প্রেমে নাহোক অপ্রেমেও কি একবার তাকানো যায়না বৃষ্টি ?
অথবা অন্তত মায়াভরা,অপলক নেত্রে একটিবার?
শুধু একবার?
কবি পরিচিতিঃ তরুণ কবি মাহবুব রুমন নেত্রকোণা জেলার, পূর্বধলা উপজেলায় ধলামুলগাঁও গ্রামে ২২ নভেম্বর ১৯৯০ জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিভাবান এই কবি শৈশবজীবন গ্রামে কাটালেও উচ্চমাধ্যমিক সৈয়দ নজ্রুল কলেজ-ময়মনসিংহ ও পরে উচ্চশিক্ষা’র জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করে ৩৬ তম BCS এর প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি পদোন্নতি লাভ করে এসিল্যান্ড ( assistant commissioner Land) পদে কর্মজীবন অতিবাহিত করছেন। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও মা হাজেরা খাতুন। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রথ : “কাব্য টোকাইয়ের অভিষেক”। দ্বিতীয় প্রকাশিত সফল পাঠক নন্দিত কাব্যগ্রথ : “পদ্যবাড়ির অন্দরমহল”।তিনি মানবতার টানে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। কবি ও কবিতার খেদমতে বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের নিয়মিত সঙ্গী। ৫ম শ্রেণী থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। তাছাড়াও পরবর্তিতে তিনি জাতীয় দৈনিক যুগান্তরসহ, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও ম্যাগাজিনেও লেখালেখি করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুনঃ