শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মোক্তার হোসেন (২৪) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১০ জন। শনিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মনাই হাওলাদার কান্দি এলাকায় নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সরকারি কমিশনার বাসিত সাত্তার, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এনামুল হাফিজ ওরফে নাদিম। তারা উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষে উপজেলা সদরে ফিরছিলেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, পদ্মা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদে শনিবার ভোটগ্রহণ করা হয়। ওই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন ওই ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারা রাত ৮টার দিকে স্পিডবোটে করে কাঁচিকাটা থেকে ভেদরগঞ্জের মনাই হাওলাদার কান্দি ঘাটের দিকে রওনা হন। ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছলে আরেকটি স্পিডবোটের সঙ্গে তাদের স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বহন করা স্পিডবোটের ১০ জন আহত হন। আর অপর স্পিডবোটের দুজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মোক্তার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। মোক্তার ভেদরগঞ্জের উত্তর তারাবনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
স্পিডবোটের যাত্রী ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী জুয়েল পাল কালবেলাকে বলেন, কাঁচিকাটা ঘাট থেকে রওনা দেওয়ার পর আমাদের স্পিডবোটটি ঘাটের কাছাকাছি চলে এসেছিল। বিপরীত দিক থেকে একটি স্পিডবোট হঠাৎ সজোরে আমাদের বোটটিকে ধাক্কা দেয়। আমরা ছিটকে একেকজন একেক দিকে পড়ে যাই। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করেছেন। আমরা হাত, পা, মাথা ও মুখে আঘাত পাই।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, নির্বাচনের কাজ শেষ করে আমাদের কর্মকর্তা ও কয়েকজন অফিস সহকারী ফিরছিলেন। আমাদের আহত দুজন কর্মকর্তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, কারা ওই স্পিডবোট চালাচ্ছিলেন তা এখনো জানতে পারিনি। দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হবে।