আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানীতে ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এবার মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, শুধু মাংস নয় রাজধানীর আটটি পয়েন্টে কম দামে মিলবে মাছও।
রবিবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে রমজান উপলক্ষ্যে কম দামে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর ৮টি স্থানে সুলভ মূল্যে মাছ বিক্রি করা হবে। এসব স্থানে রুই ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, পাবদা ৩৩০ টাকা, পাঙাশ ১৩০ টাকা, ফিস ফিললেট ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে। সকাল ১০টা থেকে এসব পণ্য বিক্রি শুরু হবে।’
রমজানের আগে অন্যান্য খাদ্যপণ্যের মতো মাছেরও দাম বেড়েছে। বর্তমানে রকমভেদে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়। আগে দর ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। তেলাপিয়া মাছের কেজি ছিল ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, যা দাঁড়িয়েছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়াও কই ৭০০ থেকে ৮০০, আইড় ৬০০ থেকে ৬৫০, শোল ৭০০ থেকে ৮০০, সরপুঁটি ২০০, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০, রুই ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান বলেন, মানুষ ভাতের অভাবে, খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না, আমরা কষ্ট হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমানুষের জন্য কাজ করছে। তার নেতৃত্বে আমরা আরও সমৃদ্ধশালী হব।
তিনি বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে বর্তমান সরকার সবসময় সচেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য যাতে সহনীয় থাকে সে লক্ষ্যে আমাদের এই পদক্ষেপ।