আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নিম্নমুখী হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ)ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) খাদ্যপণ্যটির দর আরেক দফা কমেছে। এতে ভোগ্যপণ্যটির মূল্য গত ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, আগামী সময়ে বিশ্ববাজারে চিনির সরবরাহ ব্যাপক বাড়তে পারে পারে। ফলে চাপে পড়েছে মিষ্টিজাতীয় পণ্যটির বৈশ্বিক বাজার।
শুধু আলোচ্য কার্যদিবসেই আইসিইতে আগামী মে মাসের অপরিশোধিত চিনির দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২১ দশমিক ০৯ সেন্টে। গত জানুয়ারির শুরুর দিকের পর যা প্রায় সবচেয়ে কম।
একই কর্মদিবসে আসছে মে মাসের সাদা চিনির চুক্তি মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬০০ ডলার ২০ সেন্টে। বিগত ২ মাসের মধ্যে যা প্রায় সর্বনিম্ন।
ডিলাররা বলছেন, আসন্ন ২০২৪/২৫ মৌসুমে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক ব্রাজিলের মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে আখ উৎপাদন বাড়তে পারে। এমনটি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি রপ্তানি বাড়বে। ফলে ভোগ্যপণ্যটির দরে পতন ঘটেছে।
এছাড়া বিশ্বের আরেক বৃহত্তম রপ্তানিকারক থাইল্যান্ডে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা জেগেছে। খাদ্যপণ্যটির দর হারানোর নেপথ্য কারণও এটি।