সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:
নাটোরের বড়াইগ্রামে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মামলা করতে গেলে মামলা না নেয়ার অভিযোগ উঠে ওসির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। সংবাদ প্রচারের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
মামলা না নেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা সদস্যরা হলেন, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজীব, ডিস্ট্রিক্ট ইনটেলিজেন্ট অফিসার (ডিআইওয়ান) জালাল উদ্দিন। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে পারভেজ হোসেন ও তার ৫ বন্ধু সাগর, মোহন, প্রসনজিৎ, জিত ও কৃষ্ণ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম খান মামলা না নিয়ে তাদের পাঠিয়ে দেন ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবরের কাছে। পরে ভুক্তভোগীদের মিমাংসার আশ্বাস দেন ইউপি চেয়ারম্যান।
দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও কোনো সুরাহা না পাওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতের শরণাপন্ন হন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গত ৭ মার্চ একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। এর পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।